শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

|২২ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

একদিনের চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে প্রতিদিন গণভোট আয়োজন সম্ভব: ডা. তাহের
ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অবস্থার তথ্য চেয়েছে ইসি
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
কান্তজিউ মন্দিরে মাসব্যাপী রাস মেলা শুরু
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর রাজধানীর চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার
পিআর পদ্ধতিতে সরকার গঠন না-ও হতে পারে: খন্দকার মোশাররফ
গুম প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশের অনুমোদন
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভোটার, নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ IT সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-www.ecs.gov.bd এবং নির্বাচন কমিশনের ইউটিউব চ্যানেলে- @BangladeshECS চোখ রাখুন।

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ১০ অক্টোবর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কারা, কীভাবে টিভি লাইসেন্স পেলো?

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কারা, কীভাবে টিভি লাইসেন্স পেলো?
ছবি: সংগৃহীত

নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন পাওয়ার পর অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশে আগের সরকারগুলো যেভাবে 'দলীয় বিবেচনায়' টেলিভিশন লাইসেন্সের অনুমোদন দিতো এবার অন্তর্বর্তী সরকারও তাই করেছে।

এবার যে দুজনের নামে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের একজন জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির নেতা, যিনি দলটিতে যোগ দেওয়ার আগে একটি পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। অন্যজন এনসিপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নেই, তবে এনসিপি গঠনের আগে এর উদ্যোক্তারা যে জাতীয় নাগরিক কমিটি করেছিলেন তাতে জড়িত ছিলেন তিনি। একটি পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

তারা দুজনই অবশ্য বিবিসি বাংলাকে বলেছেন যে, তারা আইন ও নিয়ম মেনেই লাইসেন্স পেয়েছেন এবং তাদের উদ্যোগের সঙ্গে বিনিয়োগকারী ও পেশাদার লোকজন সম্পৃক্ত আছেন।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন একটি গণমাধ্যম কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছিল এবং বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স পর্যালোচনার দায়িত্ব ওই কমিশনই পালন করবে বলে মতামত দিয়েছিলো।

কিন্তু তা না করে সরকার বিগত সরকারের মতো করেই নিজেদের ঘনিষ্ঠদের টিভি লাইসেন্স দিয়েছে বলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ এ বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ে (লাইসেন্স দেওয়া) সেরা চর্চা কেমন হতে পারে তারই সুপারিশ করেছিলেন।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে বিবেচনায় নিয়ে টেলিভিশন লাইসেন্স বা অনুমোদনের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা তৈরির সুযোগ সরকারের ছিল।

"কিন্তু সেটি না করে সরকার এই বার্তাই কি দিলো কি না যে আমরা কর্তৃত্ববাদের পতন চাই, কিন্তু কর্তৃত্ববাদী সংস্কৃতিই টিকিয়ে রাখতে চাই," বলেছেন তিনি।

সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অবশ্য রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

একই সঙ্গে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, "সরকার যেহেতু কোনো মিডিয়া বন্ধ করছে না, ফলে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের মিডিয়া দিয়ে মন্ত্রণালয় চাচ্ছে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে।"

সদ্য সংবাদ/এসএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ