বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ৪ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৫:২৭, ৪ অক্টোবর ২০২৫

হালট্রিপ কেলেঙ্কারি: তাজবীরকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সায়ের

হালট্রিপ কেলেঙ্কারি: তাজবীরকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সায়ের
ছবি: সংগৃহীত

হালট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত এবং সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তাজবীর হাসানকে শুক্রবার দিবাগত রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে একটি বিশেষ সংস্থা। বিষয়টি প্রকাশ করে সংস্থাটির কার্যক্ষমতার প্রশংসা করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে সায়ের লেখেন, দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করা হয়, তবে এবার তারা যে তৎপরতা দেখিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। তিনি জানান, ৪ অক্টোবর রাতের ঘটনায় হালট্রিপ কেলেঙ্কারির মূল কুশীলব তাজবীর হাসানকে বিশেষ সংস্থার উদ্যোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজবীর গত ২৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন।

সায়ের তার পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে হঠাৎ করে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যায় হালট্রিপ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। একই বছর জানুয়ারিতে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাজবীর অন্তত দুটি দেশের তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেন। এছাড়া তার মাল্টায় রেসিডেনসি এবং স্পেনের গোল্ডেন ভিসা থাকার কথাও বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২০২০ সালের মার্চে ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণের পর তাজবীর দুবাইয়ে বসতি গড়েন। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করে দুবাই, স্পেন ও মাল্টায় বিনিয়োগ করেন আবাসন খাতে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাকে তুরস্ক এবং ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিতে সহায়তা করেছেন তিনি।

বর্তমানে তাজবীরকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। সায়ের আশা প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই অর্থনৈতিক অপরাধীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য আদায় করবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে লিখেছেন, যদি কেউ হালট্রিপের কারণে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন, তবে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

সর্বশেষ