শীতেও মুক্তি নেই ডেঙ্গু থেকে
অক্টোবর পেরোলেই সাধারণত ডেঙ্গুর প্রভাব কমে আসে— এমন ধারণা এ বছর ভেস্তে গেছে। ক্যালেন্ডারের হিসাবে ডেঙ্গুর মৌসুম শেষ হলেও বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা, যার বিস্তার এখন দেশের ৬৩টি জেলায়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, হাসপাতালে রোগী ভর্তির বর্তমান ধারা শীতকালেও অব্যাহত থাকতে পারে। তাঁদের মতে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হয়েছে; এখন আর এটি কেবল মৌসুমি নয়। তাই এডিস মশার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে সারা বছরজুড়ে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০ পেরিয়েছে অনেক আগেই। এই সংখ্যা এখনও বেড়েই চলেছে।
গতবছর দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশিতা বিশ্বাস বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য যে পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়া উচিত, তা তুলনায় অপ্রতুল। তাই যে কোনো সময় ডেঙ্গু প্রকোপ থাকতে পারে।’
ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ভয় হলো আগামী দু-এক মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বেশি থাকবে। ডেঙ্গু এখন মৌসুমি নাই, বছরব্যাপী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। যদি আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারি, তাহলে শীতকালেও ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়তে পারে।’
একই শঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরাও। জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে বছরব্যাপী।
সদ্য সংবাদ/এসইচ



























