শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২ অক্টোবর ২০২৫

‘সুমুদ ফ্লোটিলা’য় কে এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী

‘সুমুদ ফ্লোটিলা’য় কে এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী
ছবি: সংগৃহীত

গাজার দিকে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এবং অবরোধের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে গ্লোবাল ফ্লোটিলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ব্রিটেনের নিউক্যাসলের মানবতাবাদী রুহি লরেন আখতার। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং নর্থম্বারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন।

১৮ সেপ্টেম্বর ফ্লোটিলায় যোগ দিয়ে রুহি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবতাবাদী কর্মী ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একত্রিত হয়েছেন, যাদের লক্ষ্য গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। খবরটি প্রকাশ করেছে এশিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও গার্ডিয়ান।

এর আগে গাজামুখী ফ্লোটিলাগুলো ইসরায়েলের বাধার মুখে পড়ার পর রুহি জানিয়েছেন, তাদের নৌযান শেষ পর্যন্ত সাইপ্রাসে ফিরে এসেছে। কারণ, নৌকায় থাকা কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ ছিলেন এবং দল তাদের আটক হওয়া এড়িয়ে যেতে চেয়েছে।

রুহি আখতার নিজের ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং করিডর খুলে দেওয়ার পরিবর্তে ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের আটক করেছে। আমরা আমাদের শত শত সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছি এবং ধারণা করছি তারা আটক অবস্থায় আছেন।’ তিনি আরও জানান, এখনও কিছু নৌযান গাজামুখী রয়েছে এবং একটি নৌযান সম্ভবত গাজার খুব কাছাকাছি আছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস-এর প্রতিষ্ঠাতা রুহি প্রায় এক মাস ধরে ফ্লোটিলার সঙ্গে রয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে এনএইচএস-এ লোয়ার-লিম্ব স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন। তিন বছরের সিরীয় শিশু আয়লান কুরদির সমুদ্রপথে মৃত্যুর মর্মান্তিক ছবি তাকে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পথে উদ্বুদ্ধ করে।

রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস বিগত এক দশকে গ্রীস, লেবানন ও গাজায় হাজারো শরণার্থী পরিবারকে খাদ্য, পোশাক ও জরুরি সহায়তা দিয়েছে। এটি একটি নারীনেতৃত্বাধীন, কমিউনিটি-ভিত্তিক সংগঠন, যেখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবকও বাস্তুচ্যুতদের পাশে কাজ করেন।

রুহির চাচা, নিউক্যাসলের সাবেক লর্ড মেয়র ও স্বতন্ত্র কাউন্সিলর হাবিব রহমান বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে নিয়ে আমি গর্বিত। তার সাহসিকতা মানবতা ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যদিও তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আছে, আমরা তার পাশে আছি। বিশ্বনেতাদের এখনই এগিয়ে আসা উচিত।’

ফ্লোটিলায় যোগ দেওয়ার আগে রুহি বলেন, ‘অন্যায়ের কষ্টের মুখে নীরব থাকা কোনো বিকল্প নয়। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, ভূমি, নিরাপত্তা ও চলাফেরার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই যাত্রা নীরব প্রতিবাদ নয়, এটি সংহতির ঘোষণা—স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে বিশ্ব লক্ষ্য রাখছে।’