নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের মানববন্ধন
অষ্টম পে–স্কেলের বৈষম্য নিরসন ও নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি।
রবিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর-২০২৫ এর মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, '২০১৫ সালে ঘোষিত অষ্টম পে–স্কেলে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ২০ থেকে ১৯ গ্রেডে বেতন বেড়েছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। অথচ ১১ থেকে ১০ গ্রেডে এই পার্থক্য ছিল ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি ওপরের দিকের কিছু গ্রেডে ১০ হাজার টাকারও বেশি ব্যবধান তৈরি করা হয়েছে।'
কর্মচারী নেতারা বলেন, 'সাধারণত প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নতুন পে–স্কেল দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের পর দীর্ঘ ১০ বছরেও নতুন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কর্মচারীরা বিশেষ আশাবাদী ছিলেন। সরকার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেও বর্তমানে বলা হচ্ছে, এই সরকারের সময় পে–স্কেল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা সরকারের এমন অবস্থানের তীব্র নিন্দা জানাই।'
কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম কাজল মানববন্ধনে বলেন,‘বর্তমান বেতন কাঠামোয় ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মাসের শুরুতেই সব বেতন শেষ হয়ে যায়। অনেকেরই দু’বেলা খাবারের নিশ্চয়তা থাকে না।আমাদের একবেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে কাটাতে হচ্ছে। নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কর্মচারীদের দুর্দশা আরও চরমে পৌঁছাবে।’
মো. শাহিদুল ইসলাম সবুজ/এমটি



























