উদ্বোধনের ১ মাস পর চালু হচ্ছে ইবির বৈদ্যুতিক শাটল

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য বৈদ্যুতিক শাটল কেনা হলেও দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। অবশেষে আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে বৈদ্যুতিক এ শাটল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ১৪ সিটের চারটি বৈদ্যুতিক শাটল কার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। কিন্তু উদ্বোধনের পর ক্যাম্পাসে আর শাটল চলতে দেখা যায়নি।
সূত্র জানায়, শাটল কার ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যারেজ ও চালক না থাকায় এতদিন তা ব্যবহার করা যায়নি। এখন গাড়ি ও গ্যারেজ প্রস্তুত। চারজন চালকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি শাটল চালু করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, টিকিটের মাধ্যমে শাটল কার ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি টিকিটের দাম ৫ টাকা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের টিকিট বুক বিতরণ করা হবে। প্রতিটি টিকিট বুকে ১০০টি টিকিট থাকবে যার মূল্য হবে ৫০০ টাকা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা চলাচলের সময় সেই টিকিটগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
তবে প্রথম সপ্তাহে টিকিট বুক কেনার ক্ষেত্রে মূল্য ২০% ছাড় দেওয়া হবে বলে পরিবহন প্রশাসন জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রথম সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা ৪০০ টাকায় একটি টিকিট বুক (১০০টি টিকিট) সংগ্রহ করতে পারবে।
বৈদ্যুতিক শাটলের রুট সম্পর্কে জানা যায়, দুইটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি রুটে মেয়েদের হলের সামনে থেকে শাটল যাত্রা শুরু করে শাহ আজিজুর রহমান হল, শহীদ আনাস হল, জিয়া মোড়, সাদ্দাম হোসেন হল হয়ে বিবিএ ফ্যাকাল্টি ও রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবন হয়ে মেইনগেটে পৌঁছাবে। একই রুটে একই সময় মেইনগেট থেকেও একটি শাটল ছাড়বে।
অপর দুটি শাটলের রুট সম্পর্কে জানা যায়, লালন শাহ হলের সামনে থেকে রওনা হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হল পার হয়ে শাহ আজিজুর রহমান হল, মেয়েদের হল পার হয়ে মেডিকেল সেন্টার, মীর মোশাররফ ভবন ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি পার হয়ে ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন ও ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের মধ্য দিয়ে মেইনগেটে পৌঁছাবে। একই রুটে মেইনগেটে থেকেও একই সময় একটি শাটল ছাড়বে।
জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শাটল কারগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিস্তিতে কেনা হয়েছে, যেখানে দুই বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ মালিকানা পাবে। এ পদ্ধতিকে ‘আয় থেকে দায় শোধ’ মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
বৈদ্যুতিক শাটল কার সরবরাহ করছে ডিএফএসকে বাংলাদেশ-এর এম এ এন্টারপ্রাইজ, যারা বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃত ইলেকট্রিক যানের ডিলার। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক শাটলের সেবা দিয়ে আসছে।
সদ্য সংবাদ/ এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন