সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

|১১ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

জনপ্রশাসনের সর্বত্র গুন্ডামি স্টাইলে চলছে: হাসনাত
এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ ৭টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফার্মগেটে মেট্রো রেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, ট্রেন চলাচল বন্ধ
ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
দলগুলো যাই বলুক, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ছয়
মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, টেকনাফে নারী গুলিবিদ্ধ
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি, পর্যবেক্ষণ করবে ইসি
সাগরে নিম্নচাপ, পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, নাম হবে মন্থা
লন্ডনে বর্ণবাদী ডানপন্থীদের রুখতে সড়কে হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষ
সরকার দ্রুত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নভেম্বরে সপরিবারে ওমরাহ করতে যাচ্ছেন তারেক রহমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেপ্তার

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আজিজুল ইসলাম আজিজকে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দায়ের করা একটি চাঁদাবাজি ও লুটপাট মামলায় আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত এলাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্থানীয় থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। পরে আজিজকে ঢাকায় নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাকিব খান জানিয়েছেন, স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় আজিজকে আটক করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে এবং তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় আজিজ ও তার সহযোগীরা ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের এরশাদ গ্রুপের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করেন এবং নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। এই ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

আজিজের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি নারায়ণগঞ্জে এরশাদ গ্রুপের রড তৈরির কারখানা দখল ও লুটপাটে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এবি ব্যাংক থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কারখানাটি দখল করা হয়। পরে কারখানার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আজিজ ও তার সহযোগীরা।

ডিবি পুলিশ বলছে, আজিজের গ্রেপ্তার মামলার তদন্তে বড় ধরনের অগ্রগতি এনে দেবে। তার জিজ্ঞাসাবাদে শামীম ওসমানসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সদ্য সংবাদ/এমটি