বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনে কমিটি গঠনে চাঁদার অভিযোগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার বিরুদ্ধে উপজেলা কমিটি গঠনের নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মনিরামপুর উপজেলা শাখার কয়েকজন নেতার দাবি, একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনের শর্তে জেলা পর্যায়ের তিন নেতা তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন।
মনিরামপুর শাখার সদস্য হাসান ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ এবং নাসিমুল বারী সাইমুম জানান, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় সংগঠনের জেলা সংগঠক মেহেদী হাসান তাদের ফোন করে জানান, কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য জেলা নেতারা দেখা করতে চান। এরপর তারা আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যশোর সিটি প্লাজায় পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ এবং মেহেদী হাসান।
অভিযোগকারীদের ভাষ্য, সিটি প্লাজার ছাদে নেওয়ার পর আলোচনার একপর্যায়ে মেহেদী হাসান কমিটি দেওয়ার শর্তে তাদের কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আপত্তি জানালে জেলা নেতারা বলেন, ‘৮০ জনের খসড়া তালিকা আছে, প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা দিলেই তো ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হয়।’ অভিযোগকারীরা দাবি করেন, শুধু উপজেলা নয়, স্কুল-কলেজ পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটিতেও আহ্বায়ক পদের জন্য ২ লাখ এবং সদস্য পদের জন্য ১ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, এ তথ্য তারা জেলা নেতাদের মুখ থেকেই শুনেছেন। বিষয়টির প্রমাণ হিসেবে তাদের কাছে অডিও রেকর্ড রয়েছে বলেও জানান তারা।
অভিযুক্ত জেলা সংগঠক মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সানি, শরিফ ও সাইমুম নিজেরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আড়াই লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল মজা করে, এটি কোনো সিরিয়াস দাবি ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র ও যুগ্ম আহ্বায়কও।
এ বিষয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।