‘হাবিব হত্যার বিচার চাই’-ইবি শিক্ষার্থীদের আওয়াজ
নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে যৌথবাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হাবিবের নিহত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি ইবি এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘হাবীব হত্যার বিচার চাই; চাইলাম ন্যায্য অধিকার, খাইলাম গুলি–হাবীব; আমার ভাইয়ের বুকে গুলি কেন ইন্টিরিম জবাব চাই; চাইলাম ভাত খাইলাম বুলেট; শ্রমিক বাঁচলে বাঁচবে দেশ; শ্রমিকের জীবনের দায়কে নেবে’ ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।
নীলফামারী জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি রাউফুল্লাহ খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি নূর আলম, নীলফামারীসহ অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘পেটুয়া হাসিনা বাহিনী যেভাবে আন্দোলন দমন করতো নতুন বাংলাদেশেও একই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাদের তো যৌক্তিক আন্দোলন ছিল। গত তিনদিনে কোনো সমাধান হয়নি। হাবীব ভাইকে অন্যায়ভাবে হত্যা হয়েছে। আমরা তার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাই। যে রক্তের উপর ইন্টারিম সরকার দাঁড়িয়ে সেই রক্তের সাথে বেইমানি করে যৌথ বাহিনীকে সাধারণ জনগণের উপর লেলিয়ে দিচ্ছেন। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’
ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম বলেন,‘যাদের রক্তের টাকায় আমরা পড়াশোনা করছি এবং যৌথ বাহিনীর বেতন চলছে; আজ সেই শ্রমিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। ইন্টারিম সরকার জনগণের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন মর্মে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বৈবিছা’র ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়েছিল উত্তরবঙ্গের সন্তান আবু সাঈদ। যত সরকার এসেছে তারা উত্তরবঙ্গের সাথে বেইমানি করেছে এবং উত্তরবঙ্গকে তারা শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। যারা শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী আপনারা আর কতদিন চুড়ি পরে বসে থাকবেন? আপনারা কি জনগণের কাতারে এসে দাঁড়াতে পারেন না? আপনারা কার টাকায় বেতন পান? আপনারা কীভাবে বসে থাকেন?
তিনি সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, বারবার জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলা কেন? শ্রমিকরা তো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়ায়নি। তারা তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এসেছিলো কিন্তু তাদের উপর কেন হামলা হলো? কেন হত্যা করা হলো? ইন্টিরিম সরকার হত্যার দায় না নিলে এরশাদের মতো পতন হবে। অথবা দিল্লি নাহয় পিণ্ডি পালিয়ে যাবেন। আমরা ‘হাবিব’ হত্যার বিচার চাই।



























