বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ১৯ জুলাই ২০২৫

কারফিউ শিথিল থাকলেও রয়েছে জনমনে আতঙ্ক 

কারফিউ শিথিল থাকলেও রয়েছে জনমনে আতঙ্ক 
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ শিথিলতা কার্যকর থাকবে।

কারফিউ সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হলেও শহরে এখনো আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরের অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। লঞ্চঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। দু-একটি দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশই বন্ধ। চৌরঙ্গী, বটতলা, কালিবাড়ী, বিসিক ও থানাপাড়া এলাকায়ও একই চিত্র।

জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছেন, এর মধ্যে দিনমজুরের সংখ্যাই বেশি।

লঞ্চঘাট এলাকায় লিমন নামে এক যুবক জানান, জরুরি কাজে শহরে এসেছেন, তবে কাজ হবে কি না তা অনিশ্চিত। ‘বেশিরভাগ দোকানপাট এখনো বন্ধ। লোকজন ভয় পাচ্ছে, কখন জানি গ্রেপ্তার হয়ে যাই। রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে, অনেকে ঘর ছেড়ে পালিয়ে আছেন,’ বলেন তিনি।

বিসিক এলাকায় বাজার করতে আসা সুরুজ নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কারফিউ নেই শুনে বাজারে এসেছি। তবে শহরে লোকজনের চলাফেরা একেবারেই কম। আতঙ্কটা রয়েই গেছে।’

মাহমুদ মিয়া নামে এক ইজিবাইক চালক জানান, ‘গত তিন দিন ধরে গাড়ি চালাচ্ছি, কিন্তু ইনকাম নেই বললেই চলে। ভাবছিলাম আজ কিছু আয় হবে, কিন্তু যাত্রীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।’

লঞ্চঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কারফিউ না থাকায় মানুষজন বের হচ্ছেন। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, তবে এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি যেন নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হয়।’