ডিসেম্বরে জামায়াতের আমির নির্বাচন, আসছে নতুন নেতৃত্ব
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচনের আয়োজন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সারাদেশের এক লাখের বেশি রুকন সদস্য তাদের ভোট দেবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই অভ্যন্তরীণ ভোট দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।
দীর্ঘ দেড় দশক পর জামায়াত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে। ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দলটি রাজপথে সরব। একই সময়ে তারা সকল আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, আসন্ন আমির নির্বাচনের পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বড় রদবদল ঘটতে পারে।
বর্তমানে ডা. শফিকুর রহমান দ্বিতীয় দফায় আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করে, যার মধ্যে থেকে রুকন সদস্যরা ভোটে একজনকে আমির হিসেবে নির্বাচিত করবেন। তবে প্যানেলের বাইরে থেকেও ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য দুটি প্যানেল নিয়ে জামায়াতের আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে। একটি প্যানেলে আছেন ডা. শফিকুর রহমান, বর্তমান নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। অন্য প্যানেলে আজহারের জায়গায় আলোচনায় রয়েছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, "জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন আমিরের কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আসবে।"
ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার ২০১৯ সালে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্রে তিন বছরের মেয়াদ নির্ধারিত থাকলেও, একজন ব্যক্তি কতবার এই পদে আসীন হতে পারবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই। সূত্র: ইত্তেফাক



























