বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজসাক্ষীর শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা 

রাজসাক্ষীর শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা 

জুলাই গণহত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার শর্তে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী, তাকে নিজের এবং তার সহকর্মীদের অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে না রেখে আলাদা রাখা হবে বলেও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) প্রকাশিত আদেশের লিখিত অনুলিপি অনুযায়ী, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত নেয়। লিখিত আদেশে জানানো হয়, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ধারাসমূহে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আদালতে অভিযুক্ত মামুন উপস্থিত থাকলেও বাকি দুই আসামি পলাতক। মামুন অভিযোগ গঠনের পর দোষ স্বীকার করেন এবং জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট সব অপরাধ ও ব্যক্তিদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও সত্য তথ্য প্রকাশ করতে চান।

তার আইনজীবী অভিযুক্তকে ক্ষমা করার আবেদন জানান। প্রধান প্রসিকিউটরও এতে সম্মতি দেন, শর্তসাপেক্ষে যে মামুন সংশ্লিষ্ট সব তথ্য পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ করবেন, যা বিচারের জন্য সহায়ক হবে।

এই প্রেক্ষাপটে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, মামুনকে ক্ষমা করা যুক্তিযুক্ত। তবে তাকে অবশ্যই সমস্ত পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে সত্য ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে। ট্রাইব্যুনাল যেকোনো সময় তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করতে পারবে।

এ কারণে তাকে সাধারণ বন্দিদের থেকে আলাদা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

মামুনের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যা মামলার সব তথ্য তুলে ধরার মাধ্যমেই ক্ষমার আদেশ কার্যকর হবে।

গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ওইদিন তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমাদের বিরুদ্ধে যে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য। আমি দোষী এবং রাজসাক্ষী হিসেবে সব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে চাই। আদালতের সহায়তায় এসব অপরাধের রহস্য উন্মোচন করতে চাই।’