জাতীয় কবি নজরুলের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, মানবতার প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর সাম্যের অগ্নিশিখায় দীপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ আগস্ট)। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এই মহাপ্রতিভা।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেন নজরুল। ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। শৈশব থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বেড়ে ওঠা নজরুল মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রেখে গেছেন অমর সৃষ্টি। তার কবিতা, গান ও লেখা বাঙালির হৃদয়ে জাগিয়েছে স্বাধীনতার চেতনা, সাম্যের স্বপ্ন আর মানবিক প্রেম। তিনি নিজেই একসময় বলেছিলেন ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণতূর্য’।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা এবং ধানমন্ডিতে সরকারি বাসভবন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে তাঁকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব এবং একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদক প্রদান করা হয় তাঁকে।

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা, হামদ-নাত পরিবেশনা ও দোয়া মাহফিল। বাংলা একাডেমি জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।