বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৬ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৯:৫৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু
ছবি: সংগৃহীত

পেরু জেন জি আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী লিমায় ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি। তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এই কথা জানান প্রেসিডেন্ট তিনি।

হোসে জেরি বলেন, 'যুদ্ধ কথায় নয়, কাজে জেতা যায়।” তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ মোকাবিলায় এবার নতুন কৌশল নেওয়া হবে, যা হবে প্রতিরক্ষা থেকে আক্রমণে যাওয়ার উদ্যোগ। জরুরি অবস্থার সময়ে সরকার সেনাবাহিনীকে রাস্তায় টহল দেওয়ার অনুমতি দেবে এবং নাগরিকদের সমাবেশসহ কিছু সাংবিধানিক অধিকার সীমিত হবে।'

ছয়দিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে অবশেষে পেরুর অন্তর্বর্তী সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সরকারি ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়নি, দেশজুড়ে বেড়ে যাওয়া চাঁদাবাজি ও চোরাচালান দমনে কীভাবে প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর পেরুতে প্রায় ১৮ হাজার চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এর সঙ্গে বেড়েছে হত্যার সংখ্যা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯০টি হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে পুলিশ, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫০২। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জরুরি অবস্থার সময়ে নাগরিকদের বিক্ষোভ করার সাংবিধানিক অধিকার সীমিত হবে।

গত ১০ অক্টোবর পেরুর কংগ্রেস দুর্নীতি ও অপরাধ দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করে। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আগামী জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

দেশজুড়ে দুর্নীতি ও সংগঠিত অপরাধবিরোধী আন্দোলনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণ প্রজন্মের জেন জি সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার জেরির পদত্যাগ দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন নিহত হন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। তবে প্রেসিডেন্ট জেরি জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।

এর আগে মার্চ মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেও খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী পল ফ্লোরেস হত্যার পর ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। তবে সে সময়ও অপরাধ কমেনি। ফ্লোরেসকে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল একটি বাসে, যেখানে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানানো হয়।

সদ্য সংবাদ/এমটি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ