বোয়ালমারীতে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান শনিবার দুপুরে বলেন, “এমন একটি ভিডিও আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রাম ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র হাতে কিছুজনকে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুর হয় এবং ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগানো হয়। আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাটও ভাঙচুরের শিকার হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত কর্মী-সমর্থক আহত হন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র বের করার চেষ্টা করছেন, আরেকজন তাঁকে তা করতে না বলছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫), গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। তার আরও একটি ছবি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, “ওই ভিডিওতে আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। তবে যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকে, পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”



























