শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|৮ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১১:০১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি শুরু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি শুরু
ছবি: সংগৃহীত

সকাল ১০টা থেকে দেশের আট বিভাগীয় শহরের ২৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তত্ত্বাবধানে লাখো প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন এই পরীক্ষায়।

বিপিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা ছিল। এরপর গেট বন্ধ হয়ে গেছে, দেরিতে এলে আর প্রবেশের সুযোগ নেই। আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও কেন্দ্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

বিপিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক ছিল। প্রবেশপত্র, ছবি ও স্বাক্ষর যাচাই করে হলে ঢোকানো হয়েছে। আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও কেন্দ্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট, টেলিটকের ওয়েবসাইট এবং পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। পরীক্ষায় বই, মোবাইল, ঘড়ি, ক্যালকুলেটরসহ সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ, মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নকল বা অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিল ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্নপত্র চার সেটে ভাগ করা হয়েছে; সঠিক উত্তরে ১ নম্বর, ভুলে কাটা যাবে ০.৫ নম্বর। পরীক্ষা চলাকালে কেউ কক্ষ ত্যাগ করতে পারছেন না। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় ও শ্রুতিলেখক সুবিধা রাখা হয়েছে। দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী আগে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সুবিধা রাখা হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক পাচ্ছেন এবং তাঁদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিট। প্রবেশপত্র ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারছেন না। প্রবেশপত্র হারালে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করা যাবে।

এ ছাড়া ইংরেজি ভার্সনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। কারও জন্য ভার্সন পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম, গরমিল বা অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ