বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ৯ জুলাই ২০২৫

লিবিয়ায় ৯ মাস বন্দি, নির্যাতনের শিকার সাগর ও তানজিরসহ ১৬২ বাংলাদেশির দেশে ফেরা

লিবিয়ায় ৯ মাস বন্দি, নির্যাতনের শিকার সাগর ও তানজিরসহ ১৬২ বাংলাদেশির দেশে ফেরা
ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ায় ভয়াবহ মানবপাচার ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর দেশে ফিরেছেন ঝিনাইদহের মতিউর রহমান সাগর ও কুষ্টিয়ার তানজির শেখ। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাঁরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। একই ফ্লাইটে আরও ১৬২ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে দেশে ফেরেন।

২০২৩ সালে গ্রামীণ দালালের প্রলোভনে পড়ে সাগর ও তানজির প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে লিবিয়ায় যান। সেখানে ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে তাঁদের ইতালিতে পাঠানোর নাম করে এক মানবপাচারকারী চক্র মাফিয়াদের হাতে তুলে দেয়। এ মাফিয়ারা তাঁদের ৮০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে একটি অন্ধকার কক্ষে বন্দি করে নির্যাতন চালায় লোহার রড, লাঠি, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করে পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে।

নির্যাতনের একপর্যায়ে সাগর ও তানজির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পাচারকারীরা মনে করে তারা মারা যাবে, তাই তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাঁরা কষ্ট করে রাজধানী ত্রিপোলির এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছান। তাঁদের পরিবার ব্র্যাকের কাছে সহায়তার আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ (টিআইপ) অফিস এবং ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশনের (আইজেএম) সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে আইওএম (আইওএম)। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেশে ফেরত আনা হয়।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক আল-আমিন নয়ন জানান, ‘এই প্রত্যাবাসন শুধু দেশে ফেরার নয়, এটি জীবন বাঁচানোর গল্প। এটি নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’।

লিবিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে আটকে পড়া বা পাচার হওয়া আরও বাংলাদেশিদের ফেরাতে ব্র্যাক, আইওএম ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বশেষ