মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

|১২ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

ঐকমত্য কমিশন ঐক্য নয়, অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
‘দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তিচিন্তা বাদ দিয়ে জাতীয় অগ্রাধিকারকে তুলে ধরুন’
আ.লীগকে নির্বাচন ফিরিয়ে আনার সাহস জাপা কোথা থেকে পায়: নাহিদ ইসলাম
হাসিনা ফ্যাসিবাদের সূচনা করে ২৮ অক্টোবর : রিজভী কবির রিজভী
বিএনপি ৩ বছর আগেই সংস্কার শুরু করেছে: মঈন খান
মাহফুজ তার বক্তব্যে প্রমাণ করেছেন, তিনি ওই পদের যোগ্য নন : মাসুদ কামাল
দীর্ঘ লড়াই শেষে প্রাথমিকের ৪৫ প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে
রাজশাহীর বাঘায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২
প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু
ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনবে বিএনপি: আমীর খসরু
সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
সংবাদপত্র ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে: তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে। এদিন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর এ বিষয়ে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন ইন্টারভেনর হিসেবে আদালতে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড.  সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

গত (২২ অক্টোবর) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

তার আগের দিন ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। 

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সদ্য সংবাদ/এসএইচ

সর্বশেষ