.png)
ফুল ছেঁড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ফুল ছেঁড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০-১২ দিন আগে মহাজনবাড়ি ও সরকার বাড়ির মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে আবারও ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় স্থানীয় মহাজন বাড়ির নুরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের একটি কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসে।
এরপর সরকার বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে। এই ফুল ছেঁড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
পরববর্তীতে এ বিষয়টি গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মহাজন বাড়ির পক্ষে মোল্লা বাড়ি, আছিরের বাড়ি ও সরকার বাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে অংশ নেয়।
রাতে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৭ জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ইটপাটকেলের আঘাতে তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আশুগঞ্জ থানার ওসি খাইরুল আলম বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
