বিএনপি নেতা এখলাসকে হেয় করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা এখলাস হোসেন মন্ডলকে মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এলাকাবাসী আজ বুধবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
সাংবাদিক সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে শাখারিয়া ইউনিয়নের চালিতাবাড়ি গ্রামের বিএনপি নেত্রী মারজিয়া খাতুন বলেন, আমরা বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি এখলাস হোসেন মন্ডলের বাড়ি পাঁচবাড়িয়া গ্রামে। এখলাস হোসেন মন্ডল একজন স্বজ্জন ব্যাক্তি এবং এলাকার মানুষের নিকট বেশ জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষ্যান্বিত হয়ে এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি মিথ্যা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা এখলাস হোসেন মন্ডলকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ও প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করে আসছে। প্রকৃত ঘটনা হলো এখলাস মন্ডলের প্রতিপক্ষদের বেশিরভাগেই আওয়ামীলীগের দোষর এবং অনেকে পদধারীও ছিল। তারা এখন বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে এবং কেউ কেউ জামায়াত ইসলামী দলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় নানা অপর্কম করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যেমন চালিতাবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ৫ আগষ্টের পর এখন জামায়াত কর্মী হয়েছেন। সুজন মিয়া ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এখন তিনি জামায়াত কর্মী হয়েছেন। মেহেদী হাসান রিহাদ ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এখন তিনি জামায়াত কর্মী হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল হুদা উজ্জল ও তার ভাই শাখারিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সন্ত্রাসী শামীমের অনুসারী নেতাকর্মীরা সবাই এখন জামায়াতে যোগ দিয়েছেন। তারাই মুলত এলাকায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে এলাকায় অশান্তি তৈরি করেছে। এখলাস হোসেন মন্ডল এসবের প্রতিবাদ করায় তারা জোটবদ্ধ হয়ে এখলাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে। এরই এক পর্যায়ে তারা ২৩ জুন রাতে এলাকায় মাইকে ঘোষনা দিয়ে এখলাস হোসেন মন্ডলসহ তার দলের লোকদের মারার জন্য পরিকল্পনা করে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী গিয়ে অস্ত্রসহ তাদের পক্ষের ৩ জনকে গ্রেফতার করে। এরা সবাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এবং জামায়াত সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় ,সাবেক আওয়ামী লীগের দোষররা এখলাস মন্ডলসহ এলাকার বিএনপি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলে নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। এলাকার যারা আওয়ামী লীগ করতো তারাও এখন সুযোগ নিচ্ছে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। এলাকার বালু ব্যবসাসহ যত অবৈধ ব্যবসা আছে সবই নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত ও আওয়ামী লীগের ওই গ্রুপটি। তারা সুকৌশলে এলাকা থেকে বিএনপি নিশ্চিহৃ করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে। তারা এখলাস সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা ছাড়াও একাধিক ব্যাক্তিকে মারধর করেছে। এলাকার জামায়াত নেতা আব্দুল মান্নান ও যুবলীগ নেতা সুজন মিয়ার নেতৃত্বে তারা এখলাস মন্ডল ছাড়াও এলাকার বাসিন্দা ও শাখারিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি সোহেল রানা,সাবেক ছাত্রদল নেতা ও স্থানীয় পাঁচবাড়িয়া এলাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আরিফুল ইসলাম স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাগর,যুবদল নেতা জেলহাজ,শিমুল,সিহাবসহ এলাকার নিরিহ মানুষদের উপর হামলা করা ছাড়াও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি ধমকির কারনে এলাকার নিরিহ বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা মালয়েশিয়া যুবদল নেতা মিনজাহ মন্ডলের গরুর ফার্মের দেয়ালসহ ফার্ম ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তাতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পাঁচবাড়িয় এলাকায় পুরুষ শূন্য হওয়ায় তারা প্রশাসনের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা চান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,চম্পা বেগম,সাজেদা খাতুন,রুমা বেগম ,রুপালী খাতুন প্রমূখ।