দুই গোলে এগিয়ে থেকেও মেসিদের ড্র, নকআউটে প্রতিপক্ষ পিএসজি

ক্লাব বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ফ্লোরিডায় ২-২ গোলে ড্র করে ইন্টার মায়ামি ও পালমেইরাস।
ম্যাচ জিতলে গ্রুপ সেরা হতে পারত মায়ামি। তাদেও আইয়েন্দে ও লুইস সুয়ারেসের দারুণ দুটি গোলে ৮০ মিনিট পর্যন্ত তারা এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। কিন্তু শেষ দিকে পালমেইরাস সেই দুই গোল শোধ করে গ্রুপের সেরা হয়ে যায়।
তিন ম্যাচে এক জয় আর দুই ড্রয়ে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৫। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে পালমেইরাস। নকআউটে ব্রাজিলিয়ান দ্বৈরথে তাদের প্রতিপক্ষ বতাফোগো।
ম্যাচ জিতলে মায়ামি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেত বতাফোগোকেই। কিন্তু গ্রুপে রানার্স আপ হওয়ায় তাদের সামনে এখন ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষ দল পিএসজি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এই টুর্নামেন্টেও আছে ফেভারিটদের কাতারে।
৩৮তম জন্মদিনের প্রাক্কালে জ্বলে উঠতে পারেননি লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে প্রায় নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে পারফরম্যান্সে একটু উন্নতি হলেও চেনা চেহারায় পাওয়া যায়নি জাদুকরকে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালের এই ম্যাচে দাপট বেশি ছিল পালমেইরাসেই। গোলে ২২টি শট নিয়ে ৭টিই লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে গোল আদায় করতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ ১০ মিনিট পর্যন্ত। মায়ামি ৮টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে। এর দুটিই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে ছিল তারা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি
মায়ামি গার্ডেন্সের হার্ড রক স্টেডিয়ামে এ দিন গ্যালারিতে ছিল পালমেইরাসের সমর্থকদের জোয়ার। ব্রাজিলের দলটি তাই ঘরের মাঠের মতোই অনুভূতি পেয়ে যায়। ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণও তাদের ছিল বেশি। চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে গুস্তাভো গোমেসের হেড ঠেকিয়ে দেন মায়ামির গোলকিপার অস্কার উস্তারি।
ষোড়শ মিনিটে আচমকাই এগিয়ে যায় মায়ামি। পালমেইরাসের আক্রমণে দুই দলের প্রায় সবাই ছিল মায়ামির অর্ধে। হুট করে রক্ষণভাগ থেকে উড়ে আসা বল মাঝমাঠের কাছাকাছি পেয়ে যান তাদেও আইয়েন্দে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের সামনে তখন কেউ নেই! সেখান থেকেই দ্রুতগতিতে বল টেনে নিয়ে পালমেইরাসের বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে ঢুকিয়ে দেন তিনি।
৩২তম মিনিটে পালমেইরাসের ফাকুন্দো তরেস দারুণ কোনাকুনি শটে মায়ামির গোলকিপারকে পরাস্ত করলেও বল সামান্য একটুর জন্য চলে যায় বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি আক্রমণ করে গোল আদায় করতে পারেনি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
মেসিকে প্রথমবার ম্যাচে একটু উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় দেখা যায় ৪৯তম মিনিটে। তবে বক্সের বাইরে থেকে তার দুর্বল শট অনায়াসেই ধরে নেন পালমেইরাসের গোলকিপার। একটু পর তার একটি ভলি একটুর জন্য ওপর দিয়ে চলে যায়।
স্রোতের বিপরীতে ৬৫তম লুইস সুয়ারেস প্রায় একক দক্ষতায় বাড়ান ব্যবধান। দুইজনকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি বাঁ পায়ের দারুণ শটে।
৮০তম মিনিটে পালমেইরাসের আশা জাগিয়ে তোলেন বদলি নামা পাউলিনিয়ো। দারুণ এক পাস পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান টটেনহ্যাম হটস্পার, বার্সেলোনায় খেলে আসা অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
সাত মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে মাউরিসিওর গোলার মতো শটে সমতায় ফেরে পালমেইরাস। সেই গোলেই নিশ্চিত হয় গ্রুপে তাদের শীর্ষস্থান।
শেষ ষোলোয় আগামী রোববার লড়বে পিএসজি ও ইন্টার মায়ামি। আগের দিন মুখোমুখি হবে বতাফোগো ও পালমেইরাস।