বঙ্গবন্ধুর ছবির ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ জাসদের
'সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে কি না' এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতামত চাওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাসদ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এক চিঠির মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এ বিষয়ে দলের অবস্থান জানান জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। ওই চিঠির অনুলিপি গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কমিশনের বৈঠকে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সনদে আর কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের পরও কমিশন নতুন করে দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়াকে বাংলাদেশ জাসদ ‘ঐকমত্যের সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন’ ও ‘অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দলগুলোকে জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত শনিবার বিকাল ৪টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও কমিশন বিবেচনা করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ জাসদ চিঠিতে লিখেছে, 'বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের যে বিধান সংবিধানের ৪(ক) ধারায় সংযোজিত হয়েছে, তা আমরা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বিধান আমরা সমর্থন করি এবং একে বিলুপ্ত করার প্রস্তাবের বিরোধিতা জানাই।'
জাসদ জানিয়েছে, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং এর নিষ্পত্তি নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। আদালতের রায় অনুযায়ী রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংসদের এখতিয়ারেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ব্রিফিংয়ের দিন নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানো হয়, যা তখন ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাসদের মতে, ঐকমত্য কমিশনের বর্তমান উদ্যোগও সেই বিতর্কেরই ধারাবাহিকতা।



























