‘আমরা সবাই রীতিমত শকড’-কনসার্টে ভাঙচুর-গোলাগুলির প্রতিক্রিয়ায় আর্টসেল
‘আমাদের কনসার্ট চলাকালে যে এ ধরনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে, সেটি আমরা চিন্তাও করতে পারিনি,’ কনসার্টে ভাঙচুর-গোলাগুলির ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ডদল আর্টসেলের মিডিয়া ম্যানেজার বাঁধন বর্মন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে কনসার্ট চলাকালে ভাঙচুর ও গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে, যাতে এক তরুণ গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের ব্যান্ডের সদস্যরা যখন স্টেজে ওঠেন, তখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। দর্শকরা ভীষণ প্রাণবন্ত ছিল। গান শুরু হওয়ার পর সবাই খুব এনজয় করছিল।’
এর মধ্যেই হঠাৎ আয়োজকদের পক্ষ থেকে কনসার্ট শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানায় আর্টসেল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তখনও জানি না যে, বাইরে ভাঙচুর কিংবা গোলাগুলির মতো কিছু হচ্ছে। আমাদের জাস্ট বলা হলো যে, ঝামেলা হচ্ছে, দ্রুত কনসার্ট শেষ করে দিতে হবে।’
এ অবস্থায় আটটির পরিবর্তে মাত্র তিনটি গান গেয়েই কনসার্ট শেষ করে দেন আর্টসেলের সদস্যরা।
বাঁধন বর্মন জানান, ‘কনসার্ট শেষ করে চলে আসার পর গণমাধ্যমের খবরে দেখলাম যে, সেখানে ভাঙচুর ও গোলাগুলি হয়েছে। এটা দেখে তখন আমরা সবাই রীতিমত শকড।’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কনসার্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা অংশ নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে ছাত্রদলের সদস্যসহ উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে তাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে পরে কনসার্ট মিলনায়তনের বাইরে ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে ওই গোলাগুলির সঙ্গে কারা জড়িত, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে ভেস্ট করা এক ব্যক্তিকে শর্টগানের গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে কনভেনশন সেন্টারের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। তাকে অনুসরণ করে পোশাকপরা অন্য পুলিশ সদস্যদেরকেও সেদিকে যেতে দেখা যায়।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। শনিবারের ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, যাতে দশজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছেন ।



























