রেড ক্রিসেন্ট চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি, এখনও কার্যালয়ে অবরুদ্ধ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয় ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনি নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগ ছাড়া তাকে কার্যালয় থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।
সকাল থেকে আন্দোলনের সময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সমর্থকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, তবে দুপুরে তারা কার্যালয় ত্যাগ করেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ আরও উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে।
সদ্য সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক যখন সদর দপ্তরে পৌঁছান, তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা প্রবেশ করতে দেননি। সেখানে পুলিশ, সাংবাদিক, আন্দোলনকারী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি থমথমে ছিল। ডা. আজিজুল ইসলাম এসময় জানান, ‘আমি এখন কথা বলতে পারব না।’
রেড ক্রিসেন্টের যুব বিভাগের উপ-পরিচালক মুনতাসির মাহমুদ জানান, ‘আমরা ফ্যাসিস্টের দোসর এই চেয়ারম্যান চাই না। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান। চেয়ারম্যান আমাদের মোকাবিলায় সমর্থক কর্মকর্তা ও পুলিশ জড়ো করেছেন।’
এর আগে গত বুধবারও সদর দপ্তরে বিক্ষোভ হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক মানুষ চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘিরে স্লোগান দিচ্ছেন। গাড়ি ত্যাগের সময়ও প্রতিবাদ চলেছে।
এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর ভালো কর্মকর্তাদের পাশপাশি রেখে স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। বিতর্কিত ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে দুর্ব্যবহার ও হুমকির ঘটনাও ঘটেছে।
মুনতাসির মাহমুদ আরও জানান, চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পদক্ষেপহীন করে, ঢাকার বাইরে ট্রান্সফার করা হয়েছে। বর্তমানে হেডকোয়ার্টারে থাকা সব ডিরেক্টর আওয়ামী লীগের সমর্থক। চেয়ারম্যানের দুর্নীতি এবং পুনর্বাসনের বিরোধিতার কারণে তিনি স্বেচ্ছাসেবক ও যুব বিভাগের উপ-পরিচালক হিসেবে প্রতিবাদ করেছেন, যার ফলে তাকে অফিসে নিষিদ্ধ করা ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ডা. আজিজুল ইসলাম এ আন্দোলনকে ‘মব’ আখ্যায়িত করে দায় চাপাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও প্রতিষ্ঠানের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের ওপর।



























