বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদেশি প্রভাব রুখতে ইন্তিফাদার ৬ আহ্বান
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক সহাবস্থান রক্ষায় ছয় দফা আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন ইন্তিফাদা বাংলাদেশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বিদেশি মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা ও বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এই আহ্বান জানায় সংগঠনটি। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমেদ রফিক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদেশি প্রভাব, তথ্যযুদ্ধ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা প্রতিহত করে জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাষ্ট্রকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইন্তিফাদা বাংলাদেশের ঘোষিত ছয়টি আহ্বান হলো— সব ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন, বিশেষ করে ইউপিডিএফকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করে তাদের বিদেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের উৎস তদন্ত করা; সীমান্তপথে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি ও কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার করা; বিদেশি প্রভাব ও তথ্যযুদ্ধ মোকাবিলায় রাষ্ট্রকে আরও সক্ষম করা; “আদিবাসী–সেটলার” বয়ান ভেঙে সঠিক ইতিহাসভিত্তিক জনসচেতনতা তৈরি করা; গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন নিজেদের নাগরিক, বিশেষ করে ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী জনগণকে হয়রানি বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় মনোযোগ দেয়; এবং বাঙালি–পাহাড়ি জনগণের পারস্পরিক আস্থা ও সহাবস্থান জোরদারে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানানো।
সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব’উল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র। ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগীরা নারীর ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশেষ অতিথি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদ্রিস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ড. মেহেদী হাসান ও মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।



























